শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরবাসীর ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুদন ধর এর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধব কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে স্থানীয় পৌর পয়েন্টে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসুচি পালিত হয়। এতে জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী,ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন ভূঁইয়ার পরিচালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায়, পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম, কাউন্সিলর সফিকুল হক, কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর, ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন ভূইয়া, ছালিক আহমেদ, সমাজকর্মী সৈয়দ জিতু মিয়া, শামীম আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জগন্নাথপুরের হাসপাতালে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সততা ও নিষ্টার সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন জগন্নাথপুরের সন্তান ডা. মধু সুদন ধর। সবাই তাঁকে গরীবের ডাক্তার বলেন। মানবিক কাজে তাঁর অবদান প্রসংশনীয়। তাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় জগন্নাথপুরবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ক্ষোব্দ উপজেলবাসী। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়। অন্যতায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, একজন ভালো মানুষ ডা. মধু সুদন ধর। তিনি বিনা টাকায় রোগি দেখেন। তাঁকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় জগন্নাথপুরবাসী কষ্ট পেয়েছেন। মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ আর ঘৃনা। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সাজানো মামলা থেকে ডা. মধুর নাম প্রত্যাহার করতে উপজেলাবাসীর দাবী।
উল্লেখ্য , গত ৩ সেপ্টেম্বর ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামের আব্দুল হামিদ (৫০) শ্বাসকষ্ট নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরদিন রাত ১২ টার দিকে আব্দুল হামিদ মারা যান। পরে ওই রোগির স্বজনরা নার্স ও চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থপেট্রিক রাজিব পালকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নার্স তাহমিনা বেগমের দায়িত্ব অবহেলার কথা উল্লেখ করে ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির স্বজনরা সুনামগঞ্জ আদালতে মামলা করেন।
Leave a Reply